রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
জাগুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: কাজ না করে বিল নিয়ে গেলো ঠিকাদার!

জাগুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: কাজ না করে বিল নিয়ে গেলো ঠিকাদার!

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মানুষের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নে জনসার্থে নির্মান করা হয়েছি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। কিন্তু এটি নির্মানের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এর কার্যক্রম চালু করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের অনিয়ম এবং দুর্নীতিই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি চালুর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানাগেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন জাগুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মানের ঠিকাদারী পান বাকেরগঞ্জ উপজেলার হাজী এন্টারপ্রাইজ নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এক কোটি ৫৯ লাখ ৩৮৯ টাকা চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটির নির্মান কাজ শুরু করা হয়। দরপত্রের শর্তানুযায়ী এক বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর এর নির্মান কাজ সম্পন্নের সময় সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজনে দরপত্রের শর্তানুযায়ী কাজ সম্পন্ন না করেই নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন হাজী এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার কবির হোসেন। এমনকি কাজটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কোন কর্মকর্তা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন বা কাজের মান তদারকি করতে যাননি।
এদিকে কাজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পরেই অর্থাৎ ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি অসম্পন্ন অবস্থায় তরিঘরি করে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কাজটি পূর্না রূপে বাস্তবায়ন হয়নি। তা না হলেও বর্তমানে কাজটিতে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ত্রুটি। নির্মিত ভবনের মেঝেতে পানির স্তর জমে যাচ্ছে। দেয়াল ও জানালার দরজায় নি¤œমানের কাজের চিত্র ফুটে উঠেছে। লোহার দরজা জানালায় মরিচা ধরেছে। সরবরাহ করা হয়নি প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রটির সীমানার মধ্যে মাটি ভরাট করা হয়নি। খালপাড়ের সীমানা দেয়াল যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে যাতায়াতের জন্য করা হয়নি কোন ব্যবস্থা। এমনকি কেন্দ্রের সামনে থাকা খাল পারাপারের জন্য কোন ব্রিজ বা পুলের ব্যবস্থাও করা হয়নি। সব মিলিয়ে একটি অপচয় প্রকল্পে রূপ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি। এতো অনিয়মের পরেও বরিশাল সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালেদা বেগম এবং উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন অর রশিদ কিভাবে ঠিকাদারের কাছ থেকে কেন্দ্রটির দায়িত্ব বুঝে নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ্য কেন্দ্রের জন্য জমিদান করা স্থানীয় সরদার জাকির জানান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে কেন্দ্রটির সামনে একটি কালভার্ট নির্মানের জন্য সরকারি তহবিল থেকে দেড়লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি। কিন্তু ঐ টাকায় কালভার্ট নির্মান করা সম্ভব নয়। এখানে আরো কম করে ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এসব বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন অর রশিদ এর সাথে আলাপকালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হস্তান্তরের পূর্বে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। হস্তান্তরের দিন জাগুয়ায় গিয়ে ওই কেন্দ্রটি দেখে আমার পছন্দ হয়নি। এটির দায়িত্বে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তারা বা ঠিকাদার কেউ আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ বা কথা বলতে আসেনি।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালেদা বেগম বলেন, কেন্দ্রটি নির্মানের সময় আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। শুধুমাত্র হস্তান্তরের দিন জানানো হয়েছে। এটি নির্মানের সব দায়িত্ব ছিলো স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। নির্মান কাজ খারাপ হলে বা ঠিকাদার কোন অনিয়ম করলে সে দায়িত্বও তাদের।
বরিশাল জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক ডাক্তার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে নির্মান কাজ তদারকির জন্য কমিটি রয়েছে। তাদেরই দেখাশুনার কথা। তবু আমি যখন জানলাম অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখবো। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বরিশাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইছাহাক মিয়া বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো। তাছাড়া আমি নিজেই প্রয়োজনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com